পর্ব ১৪: সত্যের মুখোমুখি
নিলয় এবং ঐশী তাদের জীবনে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহ এবং অস্থিরতা কাটানোর জন্য সত্যের সন্ধানে নামে।
নিলয় প্রথমে অফিসে তার প্রজেক্ট সংক্রান্ত সমস্যার গভীরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার ম্যানেজার এবং সহকর্মীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। সেখানে উঠে আসে, প্রজেক্টের ডেটাবেসে একটি ভুল তথ্য ঢোকানো হয়েছে, যা ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।
তৃষা নিলয়ের পাশে দাঁড়ায়।
“আমি জানতাম, এই ভুলটা তোমার নয়। তবে কারা এটা করেছে, সেটা বের করতে হবে।”
তাদের একসঙ্গে অনুসন্ধানের পর প্রমাণ মেলে, এক সহকর্মী, রাজীব, নিলয়ের প্রজেক্টের ফাইল ম্যানিপুলেট করেছে। রাজীব স্বীকার করে,
“তোমার সাফল্য আমার সহ্য হয়নি, নিলয়। আমি ভেবেছিলাম, তোমাকে সরিয়ে দিলে আমি সুযোগ পাব।”
নিলয় রাজীবের দোষ মাফ করে, তবে শর্ত দেয়,
“এরপর যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কিছু করার চেষ্টা করো, তাহলে আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
অন্যদিকে, ঐশী তার কাছে আসা চিঠির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। চিঠির হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে, সে বুঝতে পারে এটি সামির লেখা।
ঐশী সরাসরি সামির কাছে গিয়ে বলে,
“তুমি কেন এই চিঠি পাঠালে? তুমি জানো না, এটা আমার এবং নিলয়ের সম্পর্কের ওপর কত বড় প্রভাব ফেলতে পারে?”
সামি প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে স্বীকার করে।
“আমি জানতাম, তোমার সঙ্গে নিলয়ের দূরত্ব আছে। আমি ভেবেছিলাম, এই চিঠি দিয়ে তোমার মনে সন্দেহ তৈরি করতে পারব। আমি ভুল করেছি, এবং আমি অনুতপ্ত।”
ঐশী কঠোরভাবে বলে,
“তুমি যেটা করলে, সেটা শুধু নিলয় নয়, আমার ওপরও আঘাত। এবার থেকে আমার জীবনে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করো না।”
নিলয় এবং ঐশী এক সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে কথা বলে।
“তুমি কি জানো, এই পরিস্থিতি আমাকে আবার বুঝিয়েছে কেন আমরা একসঙ্গে আছি?” নিলয় হাসিমুখে বলে।
ঐশী হেসে উত্তর দেয়,
“আমাদের ভালোবাসা অনেক শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের প্রতিবার প্রমাণ করতে হয় যে এটা সত্যিই কতটা গভীর।”
তারা ঠিক করে, ভবিষ্যতে যে কোনো সমস্যা একসঙ্গে সমাধান করবে। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বা ঘটনা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারবে না।
তবে তাদের এই সুখের মুহূর্তে আবারও একটি ফোন আসে।
তৃষার কণ্ঠে শোনা যায়,
“নিলয়, আমি জানি আমাদের সমস্যা মিটে গেছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, এটা সবকিছুর শেষ নয়। আমরা সবাই বিপদের মুখে আছি।”
নিলয় চিন্তিত হয়।
“তৃষা, এবার কী হয়েছে? সবকিছু তো ঠিকঠাক হয়ে গেছে।”
তৃষা উত্তেজিত কণ্ঠে বলে,
“এবার যা ঘটতে যাচ্ছে, তা শুধু তোমার প্রজেক্ট নয়, তোমার পুরো জীবনকেই প্রভাবিত করবে।”
তাদের জীবনে কি আবারও নতুন কোনো বিপদ আসতে চলেছে? নাকি এটা তৃষার ভুল ধারণা?
পর্বের সমাপ্তি।
পরবর্তী পর্বে: পর্ব ১৫: অন্ধকারের ছায়া
নিলয় এবং ঐশী কি এই নতুন বিপদ সামলাতে পারবে? নাকি তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে?
©2024, Easy Tech Solution
0 Comments