পর্ব ২: অতীতের ছায়া
নিলয় এবং ঐশী তাদের নতুন জীবনের ব্যস্ততায় মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। কিন্তু তাদের সুখের এই জগতে হঠাৎ একদিন প্রবেশ করে একটি পুরনো ছায়া, যা সম্পর্কের ভিত্তি নড়বড়ে করে তুলতে পারে।
অপ্রত্যাশিত বার্তা
এক সন্ধ্যায়, নিলয় যখন অফিসের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরছে, তখন তার ফোনে একটি মেসেজ আসে। মেসেজটি তার পুরনো প্রেমিকা মিথিলার কাছ থেকে।
মেসেজ: “হাই নিলয়, কেমন আছো? অনেকদিন পর তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই। দেখা করতে পারবে?”
নিলয় কয়েক মুহূর্তের জন্য হতবাক। সে মিথিলার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছে বহু আগে, কিন্তু হঠাৎ এই মেসেজ সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। সে দ্রুত ফোন লক করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় ঐশীকে কিছু না বলার।
লুকানো সত্য
পরদিন, অফিসের কথা বলে নিলয় মিথিলার সঙ্গে একটি ক্যাফেতে দেখা করতে যায়। মিথিলা তাকে দেখে হাসি দিয়ে বলে,
“আমার মনে হচ্ছিল, তোমার সঙ্গে না বললেই নয়। পুরনো কিছু কথা শেষ করতে চাই।”
নিলয় সাবধানী সুরে জবাব দেয়, “মিথিলা, আমাদের জীবনের সেই অধ্যায় তো শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা আলাদা মানুষ, আলাদা জীবনে।”
মিথিলা তার হাত ধরতে চেষ্টা করে, “আমি জানি, কিন্তু আমি কিছু ব্যাপারে মাফ চাইতে চাই। তোমার জীবনে কোনো সমস্যা আনতে চাই না। তুমি কি এটা গোপন রাখতে পারবে?”
নিলয় মাথা নাড়ে, কিন্তু তার মনে প্রশ্ন উঁকি দেয়। এ ঘটনা যদি ঐশী জানতে পারে, তবে কী হবে?
ঐশীর সন্দেহ
সেই রাতে, নিলয় বাসায় ফিরলে ঐশী লক্ষ্য করে, সে একটু অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
“নিলয়, তুমি ঠিক আছো? আজ অফিস থেকে অনেক দেরি করেছ। কিছু বলবে?”
নিলয় হেসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে, “হ্যাঁ, অফিসে একটু কাজ বেড়েছিল। সব ঠিক আছে।”
কিন্তু ঐশী ভেতরে ভেতরে সন্দেহ করতে শুরু করে। নিলয়ের পরিবর্তিত আচরণ এবং তার দূরত্ব তাকে অস্বস্তিতে ফেলে।
পুরনো ছবি
কয়েকদিন পর, ঐশী নিলয়ের ডেস্কে তার ফোনটি দেখতে পায়। নিলয় তখন অন্য ঘরে। ঐশী নোটিফিকেশনগুলো লক্ষ্য করতে গিয়ে একটি মেসেজ দেখে—মিথিলার নাম। মেসেজটি পড়া হয়নি।
মেসেজ: “ধন্যবাদ নিলয়, তুমি আমার কথা শুনেছো। আমি সত্যিই তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
ঐশীর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। “মিথিলা? এই নাম তো আগে শুনেছি,” সে ভাবে।
গোপনীয়তার ভাঙন
ঐশী সরাসরি নিলয়ের কাছে কিছু না বলে অপেক্ষা করতে থাকে। একদিন ডিনারের সময়, সে নিলয়কে সরাসরি প্রশ্ন করে,
“নিলয়, মিথিলা কে?”
নিলয় চমকে উঠে। সে জানে, সত্য আড়াল করার সময় ফুরিয়েছে। “ঐশী, আমি সব বলবো। কিন্তু শোনার আগে আমাকে বিশ্বাস করো যে আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।”
এই পর্যায়ে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন মোড় নেয়।
পর্বের সমাপ্তি।
পরবর্তী পর্বে: পর্ব ৩: সন্দেহ ও বিভ্রান্তি
তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ে, আর তারা বুঝতে পারে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য পারস্পরিক আস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
©2024, Easy Tech Solution
0 Comments