Clickadilla

Easy Technical Solutions

ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায় (Love Unfolded) - পর্ব ৭

 

Love Unfolded

পর্ব ৭: পুরনো ছায়ার প্রত্যাবর্তন

 

নিলয় এবং ঐশীর সম্পর্ক এখন ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে। তারা একে অপরের প্রতি মনোযোগ দিতে শুরু করেছে এবং নতুন প্রতিজ্ঞাগুলো মেনে চলার চেষ্টা করছে। তবে জীবন সব সময় সরল পথে চলে না।


এক পুরনো বন্ধু

একদিন, ঐশীর পুরনো বন্ধু রাহুল হঠাৎ তার জীবনে ফিরে আসে। রাহুল এবং ঐশী এক সময় খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তবে রাহুলের অনুভূতি ঐশীর জন্য বন্ধুত্বের চেয়ে বেশি ছিল। রাহুল বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে এবং সোজাসুজি ঐশীর অফিসে গিয়ে তাকে অবাক করে দেয়।

“ঐশী, অনেক দিন পর! তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছ?” রাহুল হাসিমুখে বলে।
ঐশী একটু হতবাক হয়ে বলে,
“রাহুল! তুমি এখানে? এত বছর পর হঠাৎ?”

রাহুল মৃদু হেসে বলে,
“ভাবলাম পুরনো বন্ধুদের দেখা করা উচিত। তুমি তো খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে!”


পুরনো স্মৃতির আলো

রাহুলের সঙ্গে সময় কাটানোর ফলে ঐশীর পুরনো অনেক স্মৃতি ফিরে আসে। তারা একসঙ্গে কফি শপে গিয়ে পুরনো দিনের গল্প করে। রাহুল সরাসরি বলে,
“তুমি জানো, ঐশী, আমি তোমার জন্য এখনো কিছু অনুভব করি। আমি জানি তুমি এখন কারো সঙ্গে আছ, কিন্তু আমার অনুভূতি কখনো বদলায়নি।”

ঐশী চুপচাপ বসে থাকে। সে জানে এই কথাগুলো নিলয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু সে রাহুলের আন্তরিকতাকে অস্বীকারও করতে পারে না।


নিলয়ের সন্দেহ

অন্যদিকে, নিলয় বুঝতে পারে যে ঐশী সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে। এক রাতে সে সরাসরি ঐশীকে জিজ্ঞাসা করে,
“ঐশী, তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও? আমি তোমার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখছি।”

ঐশী কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,
“রাহুল এসেছে। তুমি তাকে চিনো না, তবে সে আমার পুরনো বন্ধু। আমরা এক সময় খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। এখন সে হঠাৎ ফিরে এসেছে।”

নিলয় একটু থেমে বলে,
“তোমার এই বন্ধু কি শুধু বন্ধুত্বের জন্য এসেছে, নাকি অন্য কিছু?”

ঐশী সততার সঙ্গে উত্তর দেয়,
“সে আমাকে বলেছে যে তার এখনো আমার জন্য কিছু অনুভূতি আছে। তবে আমি তাকে স্পষ্ট করে দিয়েছি যে আমার জীবনে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।”


পরিস্থিতি জটিল হয়

রাহুল একদিন তাদের বাসায় এসে নিলয়ের সঙ্গে দেখা করে। সে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে কথা বলতে শুরু করলেও তার আচরণে কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল। নিলয় রাহুলের দিক থেকে একধরনের চাপ অনুভব করে।

রাহুল বলে,
“তোমাদের সম্পর্ক ভালো চলছে, তাই না? তবে পুরনো বন্ধুদের জন্য একটু সময় তো দিতেই হয়, তাই না?”

নিলয় মৃদু হেসে বলে,
“অবশ্যই, পুরনো বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সম্পর্কেও সময় এবং সম্মান সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”


ঐশীর দ্বিধা

রাহুলের উপস্থিতি ঐশীর মনের মধ্যে একটা দ্বিধার সৃষ্টি করে। সে বুঝতে পারে যে নিলয় তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করছে, কিন্তু রাহুলের অনুভূতির চাপ তাকে অস্বস্তিতে ফেলছে।

একদিন রাতে, ঐশী নিলয়কে বলে,
“রাহুল আমাকে বিভ্রান্ত করছে। আমি জানি না কীভাবে তাকে বোঝাবো যে আমি তার সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক চাই না। তুমি কি মনে করো, আমাকে কিছুটা কঠোর হতে হবে?”

নিলয় তার হাত ধরে বলে,
“ঐশী, আমি তোমার পাশে আছি। যদি তুমি মনে করো তাকে কঠোরভাবে বোঝানো দরকার, তাহলে তাই করো। কিন্তু সবকিছুর আগে নিজের মনের শান্তি নিশ্চিত করো।”


একটি কঠিন সিদ্ধান্ত

ঐশী রাহুলের সঙ্গে শেষবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে স্পষ্টভাবে রাহুলকে জানায়,
“রাহুল, তুমি আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলে, কিন্তু এখন আমার জীবনে নিলয় আছে। আমি তাকে ছাড়া কল্পনা করতে পারি না। আমি চাই তুমি এটাকে সম্মান করো এবং আমার জীবন থেকে সরে যাও।”

রাহুল কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,
“আমি বুঝতে পেরেছি, ঐশী। আমি তোমার জন্য ভালোই চাই, তাই তোমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করব। তবে আমি তোমাকে মিস করব।”


একসঙ্গে এগিয়ে চলা

রাহুলের বিদায় নেয়ার পর নিলয় এবং ঐশী নিজেদের মধ্যে গভীর সংলাপ করে। তারা বুঝতে পারে যে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।


পর্বের সমাপ্তি।
পরবর্তী পর্বে: পর্ব ৮: সম্পর্কের পরীক্ষা
তাদের জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, যা তাদের প্রতিজ্ঞা এবং সম্পর্ককে আবার পরীক্ষা করবে।

©2024, Easy Tech Solution
 

Post a Comment

0 Comments